একদা মুক্তিকামী বাঙালী এখন কালা, বোবা ও বধির

 

একদা মুক্তিকামী বাঙালী এখন কালা, বোবা ও বধির। এদের মুখ বন্ধ করে রাখলে এরা প্রতিবন্ধী আর এদের মুখ খোলার অনুমতি দিলে এরা উম্মাদ প্রায়। এরা মুখে ইন্ডিয়াকে গালি মারে আর ইন্ডিয়ার বাদাম বিক্রেতাকে নিয়ে পাগলামি করে। তামিল ছবি, হিন্দি গান, সিরিয়াল যাদের নেশা তারাই আড্ডায় বসে ইন্ডিয়াকে সবচে বেশি গালি মারে। একদল বলে তুই ইন্ডিয়ার দালাল আরেক দল বলে তুই রাজাকার!! কেন ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করা উচিত, কেন পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের পক্ষে থাকা উচিত নানা জনে নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরে। কেউ পাকিস্তানি জার্সি পরে অন্য কেউ বলে গলায় ইন্ডিয়ার পতাকা ঝুলিয়েছলো তখন!!! শুধু কেউ বলেনা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাগরের প্রয়োজন হয়েছে এদেশটার জন্য । দেশ কখনো দীর্ঘশ্বাস নিতে পারে? যদি পারতো এই ক্ষত বিক্ষত দেশটার বুক চিড়ে ভয়াবহ এক দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসতো।
মুরাদ কিন্তু একটা হাড্ডি যাকে কামড়া কামড়ি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
 
১৯৭১ সালে দলমত নির্বিশেষে সবাই একজোট হয়ে মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিলো। দেশটা এখন আর আগের মতো নেই। নানা পথ ,নানা মত, পক্ষ বিপক্ষ চলছেই। 
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিই সব কিছু নয়। সাদা চোখে যা উন্নতি মনে হয় আসলে তা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। কারণ দেশের ৮০% এর উপরে সম্পদ মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে। যখন বলা হবে আপনার আমার মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার শুনতে ভাল লাগলেও সেটা সত্যি নয়।
দ্রব মূল্যের দাম উর্ধধ গামী।
মূল্যস্ফিত বেড়ে গেছে টাকার মান আরো কমে যাবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে বহুগুণ । সিন্ডিকেট দখল করে নিয়ে গেছে বাজার এর নিয়ন্ত্রণ। তারা যেভাবে ইচ্ছে দাম বাড়াচ্ছে। আসলে বাজার চাহিদার সাথে পণ্যের সরবরাহ এর সাথে দাম উঠা -নামা করে। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে চালের বাজার যথেষ্ট চাল থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়ছে । এই ব্যাপারটা জনগনের জন্য আতংকের । ভোক্তা অধিকার আইনের কোন পরোয়া করে না সিন্ডিকেট মহল। 
এখন মানুষ কাজ করে লোক দেখানোর জন্য। সামান্য কাজ করলেই সেটা ভাইরাল করে। অনেক মানুষ আছে যারা সততার সাথে কাজ করে যাওয়ার পরেও যথেষ্ট সম্মান পায় না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনটা সত্য কোনতা মিথ্যা বোঝা মুশকিল। মানুষ সত্য না জেনেই মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক খবর শেয়ার করছে, প্রোমট করছে। নিজেদের তথ্য সম্পর্কে বিন্দু মাত্র তারা সচেতন নয়। ব্যক্তিগত অনেক স্পর্শকাতর তথ্য জেনে না জেনে মানুষ প্রকাশ করে দিচ্ছে। 

অফলাইন, অনলাইনে সচেতন থাকা। তথ্য যাচাই করে পরিবেশন করা এগুলো সম্পর্কে জনগনকে ব্যাপক মাত্রায় সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হলে অনেক ক্ষেত্রেই ব্লাকমেইলিং এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।

অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা, একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার । চলুন কাউকে দোষারোপ না করে সত্য জানি , শেয়ার করি, নিরাপদ থাকি।

Comments

Popular posts from this blog

ছায়াবীথি তলে এসো, উপন্যাস, পর্ব-৩, ইস্তিয়াক আহাম্মেদ

ছায়াবীথি তলে এসো, উপন্যাস, পর্ব-৬, ইস্তিয়াক আহাম্মেদ

ছায়াবীথি তলে এসো, উপন্যাস, পর্ব-৫, ইস্তিয়াক আহাম্মেদ